সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ঢাকা: পাবনার সাঁথিয়ায় এবং লালমনিরহাটে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলাদেশের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত
ফেরদৌস বলেন, গত বেশ কিছুদিন ধরেই সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং অর্থনৈতিক লোভ-লালসা নিহিত রয়েছে। এর আগেও রামুর বৌদ্ধবিহারে হামলা চালানো হলেও আজ পর্যন্ত তার বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বহুজাতি, বহু ভাষার দেশ। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতার স্থান থাকতে পারে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, আমরা অনুতাপের সঙ্গে লক্ষ করছি যখনই কোনো নির্বাচন সামনে আসে তখনই সংখ্যালঘুরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এই প্রবণতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থের বিষয় আসলেই হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর হামলা চালায়। তি
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরগুলোর পুন:নির্মাণ পূর্বক এর নিরাপত্তা জোরদার করা, দেশের সকল সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক কাঁদা ছোড়াছুড়ি পরিহার করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এদিকে সাংবাদিক আবেদ খানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলেও সমাবেশ থেকে জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক মফিজুর রহমান, সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, চন্দনা রাণী বিশ্বাস, পুলিশের সাবেক ডিআইজি সত্য রঞ্জন বাড়ৈসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ্রগহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৩
এমএএ/কেএইচ/বিএসকে
0 comments:
Post a Comment