বিডিআর হত্যা মামলার রায়ে বিজিবি প্রধানের সন্তোষ
পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের মামলায় দেয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির (বিডিআরের পরিবর্তিত নাম) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
রায়ের প্রতিক্রিয়া তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কলঙ্ক মোচন হয়েছে।
এছাড়া রায়ের পর্যবেক্ষণে দেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রাজজ মো. আখতারুজ্জামান আলোচিত এই মামলার রায় দেন।
রায়ে বিডিআরের তৎকালীন ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আর রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় ২৭১ জনকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।
এর আগে সকালে রায়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় আলিয়া মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে ঢাকার জজ আদালতের এজলাস বসিয়ে এই বিচার চলে।
এদিকে, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়।
ইতোমধ্যে বিদ্রোহের বিচার শেষে বিভিন্ন মেয়াদে আসামিদের সাজা দিয়েছে বিডিআর আদালত। পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হচ্ছে প্রচলিত আইনে। হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টুসহ আসামির সংখ্যা ৮৪৬ জন।
প্রসঙ্গত, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) জওয়ানদের ক্ষোভকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বিডিআরে কর্মরত ৫৭ চৌকস ও দক্ষ সেনা কর্মকর্তা। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান ৯ বিডিআর জওয়ানও।
এ ঘটনার পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।- বদলে ফেলা হয় এ বাহিনীর পোশাকও।
0 comments:
Post a Comment