সর্বদলীয় সরকারে কাউকে পাবে না তারা: ফখরুল
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করতে পারছেন না বলে কথিত সর্বদলীয় সরকার গঠন করে একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে চলছেন।
“ওই কথিত সর্বদলীয় সরকারের ১৪ দলই থাকবে। আর সম্ভবত আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দল থাকতে পারে। তার সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।”
“আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ ছাড়া সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলই এখন নির্দলীয় সরকারের পক্ষে।”
সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল আবার বলেন, বিএনপি সর্বদলীয় সরকারে অংশ নেবে না। একদলীয় নির্বাচনেও যাবে না।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতালের মধ্যে মঙ্গলবার বিকালে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সর্বদলীয় সরকারের উদ্যোগের প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হরতালের দ্বিতীয় দিনে পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন নিহত হয়েছেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে ৬ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় বিরোধী দলের দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
ফখরুল বলেন, “এবারের হরতালে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
“গত এক মাসে সরকার ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে বৈধ ও অবৈধভাবে প্রচুর অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা ৬০ ঘণ্টার হরতালে তারা ব্যবহার করছে।”
হরতালকে ঘিরে সরকারই দেশে ‘নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
একতরফা নির্বাচন হলে বিরোধী দল কী করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই- নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে সরকারকে এই গণদাবি মানতে বাধ্য করবই।”
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় হিন্দু মন্দিরে হামলায় ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করে ফখরুল বলেন,“দেশে সাম্প্রদায়িক সস্প্রীতি বিনষ্ট করতে সরকারের কূটকৌশলের অংশ হিসেবে পাবনায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
হিন্দু সস্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
আগের দিনের মতোই পুলিশের বেষ্টনিতে থাকা দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফখরুল। কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে পুলিশের জল কামানের গাড়ি, প্রিজন ভ্যান ও সাঁজোয়া যান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন রুহুল কবির রিজভী, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, বেলাল আহমেদ, আবুল হোসেন, আবদুল খালেক, সাইফুল ইসলাম, তকদির হোসেন জসিম প্রমুখ।
0 comments:
Post a Comment