বহাল রাখল তরিকত, পিছু হটলো হেফাজত
ঢাকা: আশুরাসহ নানা ইস্যুতে হেফাজতে ইসলাম আগামী ১৫ নভেম্বরের সমাবেশ পেছালেও একই দিনে ডাকা সমাবেশে পেছাচ্ছে না তরিকত ফেডারেশন।
শনিবার রাজধানীর হোটেল ইম্পেরিয়াল ইন্টারন্যাশনালে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশে অটল থাকার কথা জানান তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারী।
সংবাদ সম্মেলনে নজিবুর রহমান বলেন, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি ও এদের মদদদাতাদের প্রতিহত করতে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এজন্য আগামী ১৫ নভেম্বর মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি।
বাংলাদেশকে আফগানি তালেবান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে নজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৫ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে হবে।
সভায় তরিকত চেয়ারম্যান আরও বলেন, যারা ইসলামের শত্রু, যারা গণতন্ত্রের শত্রু, যারা স্বাধীনতার শত্রু তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে এসব দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলেরও দাবি জানান তিনি।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হেফাজত-জামায়াত প্রতিহত করার জন্য মহল্লায় মহল্লায় শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব এম এ লায়ন বলেন, তারা পাঁচ লাখ মানুষের জনস্রোত নিয়ে শাপলা চত্ত্বরে সমাবেশ করার করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিক ভাবেই সমাধান করতে হবে। তাই দেশের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলোকে এক মঞ্চে আসতে হবে।
১৫ নভেম্বরের সমাবেশে সংঘাত তৈরি হবে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারপরও এবার কেউ যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটাতে চায়, তাহলে তরিকতে ইসলাম দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ হাবিবুল বাশার আলহাসানি, সৈয়দ আবু রাজ্জাক হায়দারি, সৈয়দ রেজাউল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগে মতিঝিলে কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ‘সরকারি যড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে ও ১৩ দফা দাবিতে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। পরে আশুরাসহ কয়েকটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশ থেকে সরে দাঁড়ায় হেফাজত। কিন্তু একই স্থানে সমাবেশ ডাকা তরিকত ফেডারেশন কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৩
এনএম/এএসআর/এমজেডআর
0 comments:
Post a Comment