Tuesday, November 5, 2013

তারেককে ফিরিয়ে আনতে লন্ডনে পরোয়ানার চিঠি


তারেককে ফিরিয়ে আনতে লন্ডনে পরোয়ানার চিঠি






নিজস্ব প্রতিবেদক


আরটিএনএন


ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।




মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা থেকে তারেক রহমানকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।




তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের ইস্যু গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ঢাকার জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধ কমিটি থেকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) পাঠানো হয়েছে।




এর আগে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।




এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ পালন করা রাষ্ট্রের সব সংগঠনের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ইন্টারপোলকেও জানানো হয়েছে।




এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমানের এই মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি ৭ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে। গত রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোতাহার হোসেন এই তারিখ ধার্য করেন।




২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করে দুদক।




পরের বছর ৬ জুলাই অভিযোগপত্র দেয়া হয়। চার্জশিট দাখিলের এক বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত।




মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়।




এরপর গিয়াসউদ্দিন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের সিটিব্যাংক এনএতে তার নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে অভিযোগ করেছে দুদক।




উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি। পরে তার জামিন নিম্ন আদালত থেকে বাতিল করা হয়।




তবে দৃশ্যত রাজনৈতিক হয়রানির আশঙ্কায় তারেক রহমান এখনো দেশে ফেরেননি।







  • Blogger Comment
  • Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment

Copyright © 2012 দ্বিতীয় আলো All Right Reserved
Designed by CBTblogger