দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া...
সব দূরে ঠেলে মাঝে মাঝে মনে হয়, পৃথিবীর সৃষ্টি শুধু এর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য! এর প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপরূপ রূপ। শুধু দু’চোখ মেলে দেখার অবকাশ। যেটার অভাব আমাদের বড্ড বেশি।
আর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ তো সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা স্বচ্ছ জল, গোধূলি রাঙানো মোহনীয় রূপের ডালি। প্রেয়সীর মতো নিখুঁত রূপলাবণ্যের সাঁজি ভরে রেখে যেন সবসময়। স্বচ্ছজলের মাঝে এমন সবুজ দ্বীপ কোথায় পাবে...
কবি কালিদাস। সবচেয়ে প্রাচীন বিরহী রোম্যান্টিক এ কবি তার মেঘদূত কাব্যে ‘মেঘ’কে দূত করে পাঠিয়েছিলেন যক্ষপ্রিয়ার কাছে। ঝড়-ঝঞ্ঝা, পাহাড়-পর্বত-নদী পেরিয়ে মেঘ যক্ষের বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল তার প্রিয়ার কাছে। মেঘের এমন রূপই বোধহয় প্রিয়ার বার্তা বহনের যোগ্য!
আকাশের নীলে, হাওরের জলে একাকার। নীলজলে সবুজ গাছ ফেলেছে আঁধারি ছায়া। আলোর পিঠে আঁধার, আঁধারের পিঠে সবসময় থাকে আলো। উপরের শুভ্র মেঘগুলো উপর থেকে ফেলছে সেই আলোর দৃষ্টিপ্রদীপ।
মেঘে মেঘে রংধনু। মেঘের অনেক রং। গোধূলিলগ্নে মেঘের রঙে স্বচ্ছজল মিশে খেলছে রঙের জলকেলি। দূরের নীল আকাশ বোধহয় মিটি মিটি হেসে বলছে, ওহে মানব! দেখো চোখ মেলে একটিবার...
এই আমাদের বাংলাদেশ। এই আমরা বাঙালি। এই আমাদের বাংলার রূপ। আমরা তো বার বার গর্বভরে ডিএল রায়ের মতো বলতেই পারি ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি...।’
ছবিগুলো হাওর অঞ্চল কিশোরগঞ্জ থেকে তোলা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৩
এএ/বিএসকে
0 comments:
Post a Comment