খালেদাকে শ্রমজীবী মানুষের ট্রেনে ওঠার পরামর্শ
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামায়াত-হেফাজতের ট্রেনে না চড়ে শ্রমজীবী মানুষের ট্রেনে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাশে কৃষক ফেডারেশন আয়োজিত ‘কমরেড সাত্তার খান ও কৃষক আন্দোলন-বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াত-হেফাজতের ট্রেনে করে পাকিস্তান যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ট্রেন চড়লে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য বদলাবে না। ভাগ্য বদলাতে হলে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের ট্রেনে উঠতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন কৃষিশ্রম আইনে কৃষি শ্রমিকদের ভাগ্যবদল ও ভুমিহীন আইন করার কথা বলা হয় তখন খালেদা জিয়া নীরবতা পালন করেন। তিনি ব্যস্ত থাকেন তেতুল হুজুর ও জঙ্গিবাদদের এজেন্ডা নিয়ে। হেফাজত-জামায়াতের ট্রেন কখনই এদেশের শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য বদলাবেনা।
নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে ১৪ দলীয় জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কৃষিতে ভুর্তূকি, ভূমিহীনদের জন্য যুগোপযোগী ভূমি আইন প্রর্বতন ও খাদ্য নিরাপত্তায় ভুমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে ইনু বলেন, এদেশের রাজনীতিবিদরা কৃষি-কৃষক ও কৃষকের নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামান না। গণতন্ত্র রক্ষায় কৃষি কর্মসূচিকে বাঁচিয়ে রাখতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান।
কৃষিতে বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি উপকরণ ব্যবস্থার সংস্কার, কৃষি উপকরণের মূল্য কমিয়েছে ও শস্য গুদামজাত করেছে। যার ফলে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন শস্য গুদামজাত রয়েছে। তবুও শস্যের ন্যায্য মূল্য কৃষকরা এখনো পায়নি বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে গ্রামের শ্রমিকদের অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী সরকার দরকার।পাকিস্তান প্রেমী কোনো সরকার দিয়ে কৃষকদের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
কমরেড সাত্তার খানের সহধর্মিনী জাবেদা সাত্তার খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী কমরেড মোর্শেদ আলী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন ও মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৩
আরইউ/এফআইএস/বিএসডি/জেসিকে
0 comments:
Post a Comment