জিয়ার কবরে খালেদার শ্রদ্ধা
১৯৭৫ সালের ঘটনাবহুল সেই দিনটিকে প্রতি বছর বিএনপি পালন করে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসাবে।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে বৃহস্পতিবার ভোরে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বেলা ১১টায় শেরে বাংলা নগরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়ার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান, শাহজাহান ওমর, রুহুল আলম চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) কবর প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
পরে মহানগর বিএনপি, মহিলা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, ছাত্র দল, বাস্তহারা দল, উলামা দল, জাতীয়তাবাদী লেখক পরিষদ, কর্মজীবী দল, সমবায় দল, লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়া। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়; জিয়া হন গৃহবন্দি।
৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের আরেক সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। ওই অভ্যুত্থানে জাসদের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেয়। আর এর মধ্য দিয়ে জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, হন দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক।
জিয়া মুক্ত হওয়ার পর খালেদ মোশাররফ ও তার সঙ্গী মেজর হায়দারসহ অনেককে হত্যা করা হয়, যার অধিকাংশই মুক্তিযোদ্ধা।
বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ দিনে সরকারি ছুটি থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর তা বাতিল করে।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে বিএনপি।
0 comments:
Post a Comment